Released:

কেন নয়টি গানের এ্যালবাম?

তরুণ বয়স থেকেই আমার ভেতরে একটি পরিকল্পনা কাজ করতো, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সমস্ত সৃজনশীল পেশাজীবী ও স্বাধীন মুক্তচিন্তার মানুষগুলোকে একসাথে করে একটা যৌথ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় কিনা। সে কারণে অভিজ্ঞতা এবং এ অঙ্গনের মানুষগুলোকে জানার জন্য নানান পেশার মধ্যে কোনো না কোনোভাবে অংশগ্রহণের চেষ্টা করেছি। একটা পর্যায়ে এসে দেখলাম, চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র, চলচ্চিত্র, স্থাপত্য, ব্যবসা, রেস্টুরেন্ট, পত্রিকা, প্রকাশনা, টেলিভিশন অনুষ্ঠান... অনেক পথই হেঁটে ফেলেছি। কাজ করতে গিয়ে এই নানা অঙ্গনের মানুষদের দেখে আমার ভেতরে আলাদা একধরণের অনুভ‚তি তৈরি হয়। এবং একটি বিষয় খেয়াল করলাম, যারা এখনো খ্যাতিমান হননি, কাজ করতে গিয়ে তাদের নানাভাবে অসম্মান ও অবহেলার শিকার হতে হয়। প্রযুক্তির পরিবর্তন এবং নানা কারণে একটা সময় যখন মানুষ বিনে পয়সায় গান শোনার অভ্যাস করে ফেলল, তখন শিল্পী, কলাকুশলী সহ সংগীতের সাথে সম্পৃক্ত মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি দায়বদ্ধতা কাজ করল আমার মনে। আর সে কারণেই সংগীতের মানুষ না হয়েও যুক্ত হয়ে পড়া। আমি চেষ্টা করলাম আমার মেধার একটি অংশ মূল পেশাগত কাজে রেখে কিভাবে চিন্তাগতভাবে তাদের পাশে থাকতে পারি। এই তাগিদ থেকেই প্রথম ছবি ‘আহা!’ করার পরে আমার প্রিয় বন্ধু দেবজ্যোতি মিশ্রের সাথে কাজ করতে গিয়ে কোত্থেকে আলাদা একটি শক্তি পেয়ে গেলাম এবং নিজেই গান লেখা ও সুর করা শুরু করলাম। আমার গান লেখা ও সুরের এই সৃজনশীল বিনিয়োগ বা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে আইএসআর এবং সিএসআরের মাধ্যমে গানের মানুষদের দাঁড়াবার জায়গা করে তুলতে একটি প্রক্রিয়া দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। এই প্রক্রিয়ায় বিপুল সংখ্যক গান তৈরি করতে পারলে এর আর্থিক প্রণোদনাকে কাজে লাগিয়ে শিল্পীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে একটি স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এক নির্ঝরের গান একটি প্রক্রিয়া, গানশালা নামের মৌলিক গান নির্মাণের এই ছাউনিই হয়ে উঠবে সকলের একত্রে দাঁড়াবার জায়গা।